ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এদিন দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে অন্তত ৭০টি হামলা চালানো হয়। এতে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশটির জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আবারও বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৩ নভেম্বর) রুশ বাহিনী ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর ফলে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।

রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকার জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে। সব মিলিয়ে ৭০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৫১টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে ইউক্রেনের সেনারা।

কিয়েভ থেকে রয়টার্স প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, কিয়েভের আশেপাশে কয়েকটি উচ্চ শব্দের বিস্ফোরণ ঘটেছে। মাথার ওপর দিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ওড়ে যেতে দেখা গেছে।

স্থানীয় এক বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, জরুরি বিদ্যুৎ বিপর্যয় শুরু হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটস্কো টেলিগ্রামে লিখেছেন, রাজধানীর একটি অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকুন। বিমান হামলার সতর্ক সংকতে চলছে।

কেমন অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়েছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি মেয়র। তবে গত কিছুদিন ধরে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। বিশেষ করে খারকিভ ও খেরসন থেকে পিছু হটার পর এমন কৌশল নিয়েছে রুশ সেনারা।

রুশ হামলায় এক কোটির বেশি মানুষ দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিলেন। বুধবার ইউক্রেনের জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড অপারেটর জানিয়েছে, দেশজুড়ে আরও ব্ল্যাকআউটের প্রয়োজন হবে।

এর আগে বুধবার সকালে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের একটি প্রসূতি ওয়ার্ডে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চালানো এই হামলায় এক নবজাতক নিহত হয়েছে।